নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) পদ রয়েছে শুন্য। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করার উপজেলার দুটি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদ অচল হয়ে পড়ে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারী খাল দখল করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দোকান ঘন নির্মানের হিড়িকি পরেছে। পুলিশ কর্মকর্তার ভাই বলে কথা তাই তিনি ভূমি অফিসের তহশিলদারের বাধা উপেক্ষা ও কর্ণপাত না করে এসকল অবৈধ দোকান নির্মান রে যাচ্ছে। ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে হুমকীর মুখে পরবে কৃষি চাষাবাদ।উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল ব্রীজ সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে সরকারী খাল দখল করে দোতলা দোকান ঘর নির্মান করছেন স্থানীয় কাদের মোল্লার ছেলে বিপ্লব মোল্লা। স্থানীয়রা অভিযোগে বলেন, বিপ্লবের বড় ভাই পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্মকর্তা। এই কারণে তহশিলদার তিন তিন বার বাঁধা দিয়ে গেলেও সেই বাঁধা উপেক্ষা করে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছে। একইভাবে রাজিহার-বাশাইল সড়কের রাজিহার কালীবাড়ি এলাকায় সরকারী খাল দখল করে দোকান নির্মান করেছেন স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মাসুম। মাসুম গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছে স্থানীয় মাতুব্বরদের অনুমতি নিয়ে সে দোকান তুলেছে। রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার অবৈধভাবে দোকান নির্মানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইনগতভাবে তিনি উচ্ছেদ করতে না পারায় বিষয়টি ইউনিয়ন তহশিলদারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের লোকজনের মদদের অভিযোগ করে এইভাবে দোকান নির্মান হলে একমাত্র খালটিতে আর পানি প্রবাহ পাবে না চাষিরা। তবে ওই অবৈধ দোকানসহ ইউনিয়নের সকল অবৈধ দোকান তিনি উচ্ছেদ করবেন বলেও জানান।
রাজিহার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাশাইল গিয়ে বিপ্লব মোল্লাকে তিন তিন বার অবৈধভাবে দোকান নির্মানে বাঁধা প্রদান করার পরেও সেই দোকান নির্মান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি খাল দখল করে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে রবিবার ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে বলেন রাজিহার ইউনিয়নে খাল দখল করে অবৈধ শতাধিক দোকান উচ্ছেদের জন্য তালিকা অনেক আগেই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। খাল দখল করে দোকান নির্মান করা বিপ্লব মোল্লা বলেন, তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভোগ দখলীয় সূত্রে আপাতত টিনের ঘর তুলছেন। ওই জায়গা তাদের গাছও লাগানো ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো.আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি এসিল্যান্ড অফিসের এখতিয়ারভুক্ত। তারা সরকারী সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য পুলিশের সহযোগীতা চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান বা অবৈধ উচ্ছেদের জন্য তাদের সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, অবৈধভাবে খাল দখলের বিষয়ে তিনি আইনহত ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply